সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
২৫ কার্তিক ১৪৩২

সারজিসের পথসভায় কেন বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, জানাল নেসকো

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের পথসভায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।

আজ রোববার নেসকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটকে রাজনৈতিক পক্ষপাত উল্লেখ করে কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন সারজিস আলম।

গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরে বাংলা চত্বরে অবস্থিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে লংমার্চের শেষ পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সারজিস আলম বলেন, ‘একবার নয়, দুইবার নয়, এবার নিয়ে তিনবার এনসিপির সভা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। নেসকোর মালিক ও তার বাপকে জবাব দিতে হবে—এনসিপির প্রোগ্রামের সময় এটা হয় কেন? যারা এই কাজ করেছে, মূলত রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব—তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব। এরপর দেখব পঞ্চগড়ের নেসকোর দায়িত্বে কে আছে।’

এর আগে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে লংমার্চের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সময় (রাত ৯টা ২০ মিনিট) বৈশাখী মোড় এলাকায় একটি লাইনে আগুন ধরার খবর পায় কর্তৃপক্ষ। পরে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক লাইনটি শাটডাউন করতে বাধ্য হন কর্মরত ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন  আগামীতে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প: সরোয়ার তুষার

জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টা ২০ মিনিটে বৈশাখী মোড় এলাকায় আমাদের একটি লাইনে আগুন লাগে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৈদ্যুতিক লাইনটি বন্ধ করি। পরে আমাদের কারিগরি টিম দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ৯টা ২৮ মিনিটে সংযোগ পুনরায় সচল করে। অর্থাৎ মাত্র ৮ মিনিট বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ ছিল।’

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রোগ্রামের বিষয়ে আমাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। ঘটনাটি ছিল একটি দুর্ঘটনাজনিত কারিগরি সমস্যা।’

এ বিষয়ে ওই জেলা শহরের বৈশাখী মোড় এলাকার বাসিন্দা সায়েম সরকার বলেন, ‘সেই সময় আমি বাড়িতে খেতে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি বাইরে সবাই চিৎকার করছে। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের তারে আগুন লেগেছে। আমরা তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে যাই। আমি বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানকে ফোন দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে লাইন বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবার সংযোগ চালু করে, আগুন নিভে যায়। পরে নেসকোর টিম ঘটনাস্থলে আসে।’

নেসকোর তথ্য অনুযায়ী, গতকালের বিভ্রাটটি ছিল বৈশাখী মোড়ে ট্রান্সফরমারের লাইনে আগুন লাগার কারণে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটি, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ স্বাভাবিক করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেনাপোল স্থলবন্দরে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া

সারজিসের পথসভায় কেন বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, জানাল নেসকো

আপডেট সময় : ০৫:২০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের পথসভায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।

আজ রোববার নেসকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটকে রাজনৈতিক পক্ষপাত উল্লেখ করে কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন সারজিস আলম।

গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরে বাংলা চত্বরে অবস্থিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে লংমার্চের শেষ পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সারজিস আলম বলেন, ‘একবার নয়, দুইবার নয়, এবার নিয়ে তিনবার এনসিপির সভা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। নেসকোর মালিক ও তার বাপকে জবাব দিতে হবে—এনসিপির প্রোগ্রামের সময় এটা হয় কেন? যারা এই কাজ করেছে, মূলত রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব—তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব। এরপর দেখব পঞ্চগড়ের নেসকোর দায়িত্বে কে আছে।’

এর আগে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে লংমার্চের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সময় (রাত ৯টা ২০ মিনিট) বৈশাখী মোড় এলাকায় একটি লাইনে আগুন ধরার খবর পায় কর্তৃপক্ষ। পরে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক লাইনটি শাটডাউন করতে বাধ্য হন কর্মরত ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন  জাতীয় নির্বাচনের দিনই ‘জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট’ হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ

জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টা ২০ মিনিটে বৈশাখী মোড় এলাকায় আমাদের একটি লাইনে আগুন লাগে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৈদ্যুতিক লাইনটি বন্ধ করি। পরে আমাদের কারিগরি টিম দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ৯টা ২৮ মিনিটে সংযোগ পুনরায় সচল করে। অর্থাৎ মাত্র ৮ মিনিট বিদ্যুৎ-সরবরাহ বন্ধ ছিল।’

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রোগ্রামের বিষয়ে আমাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। ঘটনাটি ছিল একটি দুর্ঘটনাজনিত কারিগরি সমস্যা।’

এ বিষয়ে ওই জেলা শহরের বৈশাখী মোড় এলাকার বাসিন্দা সায়েম সরকার বলেন, ‘সেই সময় আমি বাড়িতে খেতে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি বাইরে সবাই চিৎকার করছে। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের তারে আগুন লেগেছে। আমরা তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে যাই। আমি বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানকে ফোন দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে লাইন বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবার সংযোগ চালু করে, আগুন নিভে যায়। পরে নেসকোর টিম ঘটনাস্থলে আসে।’

নেসকোর তথ্য অনুযায়ী, গতকালের বিভ্রাটটি ছিল বৈশাখী মোড়ে ট্রান্সফরমারের লাইনে আগুন লাগার কারণে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটি, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ স্বাভাবিক করা হয়।