বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
মোঃ আজিজুল হক রাজুঃ বগুড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তি না দিলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বগুড়ার শ্রমিক নেতারা।
আজ শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় শহরের সাত মাথায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বগুড়া জেলা মোটর-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল বলেন, সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাকে হয়রানিমূলকভাবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু কখনও কারো সঙ্গে অন্যায় কাজ করেনি। তিনি সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনকে প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সেই সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি না দিলে আগামী ৩০ জুনের পর সকল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়া বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মণ্ডল, মিঠুর বড় মেয়ে সৈয়দ সানজিদা আহম্মেদ তুলসী, জেলা মোটর-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রামাণিক, জালাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান মানিক, সাজ্জাদ হোসেন, নুর আমিন মণ্ডল, জেলা সম্মিলিত শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন মণ্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ঈদের দিন ১৭ জুন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ায় প্রভাবশালি আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সার্জিল আহমেদ টিপুর মেয়ের প্রাইভেট কারে মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয় শরিফ ও রুমন ওরফে রোমান নামে দুই যুবককে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রকাশ্যে গুলির পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শরিফ শেখ ও রুমনকে। কিলিং মিশনে অংশ নেন ২৭-২৮ জন। নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সার্জিল আহমেদ টিপু। এ সময় টিপুর বড় ভাই সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু ও স্থানিয় পৌর কাউন্সিলর বিএনপি নেতা শাহ মো: শাহ মেহেদী হাসান হিমুও উপস্থিত ছিলেন বলে মামলায় অি যোগ করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শাহিনুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ সৌরভ,ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত ও নাঈম হোসেনকে পুলিশ এবং প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে এই চার আসামি কারাগারে রয়েছে।