বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ৭ জন নিহতের প্রতিবাদে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। বিক্ষোভ থেকে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন; সরকারী দলের হত্যা ও নৃশংসতার কারণে ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। দেশপ্রিমক জনগণকে গণআন্দোলনে শামীল হওয়ার জন্য তারা উদাত্ত আহ্বান জানান।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে এবি পার্টির কালো পতাকা মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন, প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন ঘুরে আবার বিজয়নগর এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। দলীয় মিছিল শেষে এবি পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা যৌথ ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে গণমিছিল বের করে। পথিমধ্যে মিছিলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাদেক খানসহ সাধারণ জনতা যুক্ত হন। গণমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান, এনডিএম মহাসচিব মমিনুল আমিন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মেজর অব. মিনার বলেন, যখনই প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে ফিরে তার পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন তখনই পুরো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলার জন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে ছাত্র হত্যা। গতকালকে নিহত এই ৬ জনের হত্যার পুরো দায় ওবায়দুল কাদেরের।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। তার এই বিদ্বেষের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ৭ জন। তিনি আবু সাঈদকে নতুন প্রজন্মের বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষনা করে বলেন; তার এই খুনের দায় প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে নিতে হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে আজ ছাত্রলীগকে হেলমেট বাহিনীতে পরিনত করেছে। যার ফলে গোটা দেশের মানুষের কাছে ছাত্রলীগ এখন ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তিনি ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা ছাত্ররাজনীতি করেই এখানে এসেছি। আজ তোমাদের প্রতি মানুষের এই ঘৃনা দেখে আমাদেরও লজ্জা হচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসী, নৃগোষ্ঠী সবাইকে বলেছিলেন তোরা বাঙালি হয়ে যা এখন তার মেয়ে সারাদেশের মানুষকে বলছে রাজাকারের বাচ্চা। আওয়ামীলীগ সব সময়ই দেশের মানুষকে বিভক্ত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। তাদের হত্যা ও নৃশংসতার কারণে ছাত্র আন্দোলন আজ গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। তিনি সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই খুনি সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
কালো পতাকা মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সাবেক সেনাকর্মকর্তা লে. কর্ণেল অব. দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, তারেক আব্দুল্লাহ, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক, নারী নেত্রী রুনা হোসাইন, আমেনা বেগম, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক সিএমএইচ আরিফ সহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।