• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার

দুই বছর আগে ক্যান্সারে মারা যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাও আসামি

প্রকাশক / ১২৩
বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতন ঘিরে সারা দেশে ছাত্র-জনতা ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় ঢালাও আসামি করা নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সেসব আসামির তালিকা থেকে বাদ যায়নি ক্যান্সারে মারা যাওয়া সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাও।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জামালপুর সদর থানায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সফিকুল ইসলামকে, যিনি জামালপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন।

পৌরসভার পালপাড়া এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে সফিকুল।

তার নামের বানান শফিকুল হলেও মামলায় লেখা হয়েছে সফিকুল, পরিচয় নিশ্চিত করা অন্যান্য তথ্য ঠিক আছে।

১ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত গণআন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দেশজুড়ে মামলা চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, এই সময়ে অন্তত এক হাজার মানুষ মারা গেছে।

এদিকে সফিকুলের মৃত্যু সনদ যাচাই করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক সফিকুল ইসলাম দুই বছর আগে মারা যান, যিনি প্রায় ২০ বছর আগে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে তার ভাইয়ের দাবি।

জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক সফিকুল ইসলাম দুই বছর আগে মারা যান, যিনি প্রায় ২০ বছর আগে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে তার ভাইয়ের দাবি।

সফিকুলের ছোট ভাই রফিকুল বলছেন, প্রায় বিশ বছর আগে বড় ভাই পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।

দুই বছর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার ভাই সফিকুল। এখন একমাত্র মেয়েকে নিয়েই তার ভাবির সংসার।

প্রতিবেশীদের কাছে জানতে চাইলে তারাও দুই বছর আগে সফিকুলের মৃত্যুর তথ্য সঠিক বলে তুলে ধরছেন।

জামালপুর পৌরসভার ফুলবাড়িয়া দড়িপাড়ার হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ ৮৩ জনের নাম দিয়ে এবং ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আসামি তালিকায় ৭৮ নম্বরে সফিকুলের নাম রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে চলে গেলে ওই দিন বিকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়।

মামলার বাদী ও তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্তরা মারধর করে ৩৮ হাজার নগদ টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।

১৮৬০ সালের প্যানাল কোডের ১৪৩/১৪৮/৩২৩/৪২৭/৩৭৯ ও ৫০৬(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে জানতে হায়দারকে ফোন করা হলে সাংবাদিকদের বলেন, পরে সাক্ষাতে কথা বলবেন তিনি।

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবির সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে মামলার বাদী ভালো বলতে পারবেন। মৃত মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন