সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চোর বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পুরো পরিবার চোর।’ রাজধানীর কাকরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ সোমবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি, এক শ টাকার বালিশ চার-পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা দেখতাম, ৬টা ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। আমরা দেখতাম, বাংলাদেশের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বড়লোকের একজন হয়ে গেছে। আমরা দেখতাম, একটা বেহায়া প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিয়ন চার শ কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা হাসতে হাসতে জাতির সামনে বলছে।’
এসব ঘটনার সময় দেশে দুদক ছিল, উচ্চ আদালত ছিল। কিন্তু কিছুর বিচার হয়নি বলে অভিযোগ করেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুর বিচার হয়নি। বিচার হতো খালেদা জিয়ার। প্রক্রিয়াগত ভুলের কারণে তিন কোটি টাকা একটা জায়গা রেখেছিলেন, এক টাকাও কেউ আত্মসাৎ করেনি–এই কারণে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়ে দিয়েছে এই দেশের দুদক আর বিচার বিভাগ মিলে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘চোর প্রধানমন্ত্রী, যার পুরা পরিবার ছিল চোর, সে সারা দেশে বইলা বেড়াইত এতিমের টাকা নাকি খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করছে। এই চোরের মুখের সামনে কেউ কোনোদিন কথা বলতে পারত না। দুদক তাঁর দাসে পরিণত হয়েছিল। বিচার বিভাগ তাঁর দাসে পরিণত হয়েছিল।’
দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আপনারা অনেকেই কাজ করতে পারেননি। এরমধ্যে অনেকেই কাজ করার চেষ্টা করেছেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘যেসব কাজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাহায্যে করা সম্ভব সেগুলো আমরা করে ফেলব। আমরা দেরি করব না, আমাদের খুব বেশি সময় নেই। বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। আমি তাদের বললাম উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য আমরা একটা আইন করব, আপনারা আইন করে দিতে পারবেন কি না? পরে ওই কমিশনের রিপোর্ট ছাড়াই আমাদের আইন করে দিয়েছে।’
নতুন কমিশন নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুদকের ব্যাপারটা আমি দেখছি না। যারা দেখছেন বা যিনি দেখছেন তারা এ বিষয়ে সচেতন আছেন। দুদককে অচল রাখা যাবে না। এত বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে, দুদককে অবশ্যই সচল করতে হবে।’