আমতলী উপজেলার গ্রামাঞ্চলে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দমফাটা শ্রম বিনিয়োগ করছে চাষিরা।গত বছরের চেয়ে এবছর তরমুজের চাষ দ্বিগুণ হয়েছে এমনটাই প্রত্যাশা চাষীদের।
আমতলী উপজেলা ঘুরে জানা গেছে,এ উপজেলার গুলিশাখালী,কুকুয়া, হলদিয়া, সদর ইউনিয়ন, চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা ইতোমধ্যে জমি চাষাবাদ করে বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বছর বীজের দাম গত বছরের তুলনায় কম। গত বছর তরমুজে লোকসান হওয়াতে অনেক চাষি তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বাজারে এক কৌটা (১০০ গ্রাম) বিগ ফ্যামিলি ২,৫০০ টাকা, জাগুয়া ২,২০০ টাকা ও এশিয়ান বীজ ১,৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা ছোট গুলিশাখালী , হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা, কুকুয়ার আমরাগাছিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন। তরমুজ বীজ বপনের জন্য জমিতে গর্ত তৈরি করছেন। এ কাজ করতে ঘরের নারী ও শিশুরাও বসে নেই। তারাও পুরুষের পাশাপাশি কাজ করছে।
কুকুয়ার লাল মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। বীজের দাম কম থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ কম হবে।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৪৯৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ হাজার ৫৯৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ দিগুন হয়েছে। বেলে-দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আমতলীতে রসালো তরমুজ চাষ ভালো হয়। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে তরমুজের ফলন ভালো হয়। এ বছর ওই ইউনিয়নের চাষিরা লোকসানের ভয়ে তরমুজ চাষ করছেন না।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মো:ঈছা বলেন,
এবছর আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ হাজার ৫৯৪ হেক্টর। গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বাজার মূল্য ভাল থাকায় কৃষকরা তরমুজ চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়।এ কারনে এ বছর কৃষকদের ভিতরে তরমুজ চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।