এবার, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার এই নির্বাহী আদেশ জারি হয়, খবর বিবিসির।
গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের দুই দিন পরই ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশে সই করেন।
ট্রাম্প বলেন, মার্কিন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে যারা সহায়তা করেছেন, এই নির্বাহী আদেশে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ট্রাম্পের এই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, আইসিসি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে। আইসিসির পদক্ষেপের কারণে মার্কিনিরা বিপদে পড়েছে। মার্কিন নাগরিকরা হয়রানি, খারাপ আচরণ ও গ্রেপ্তারের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। আইসিসির সদস্য দেশ না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কর্মকর্তাদের এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইসিসির বিচারকার্য বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এর আগেও, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির ওয়ারেন্টের সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইসিসির পদক্ষেপকে অত্যাচার উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীরা সমান নয়।
এদিকে, ট্রাম্প তার সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে গাজা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিষ্ঠার একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বর্তমানে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতি চলছে। যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকাকে ইসরাইল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করবে এবং এতে কোনো মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না। তবে, ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আরব নেতারা এবং জাতিসংঘ।
এর আগের মেয়াদেও ট্রাম্প আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠার পর তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।