• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার

কোটাবিরোধীদের পদক্ষেপকে ইতিবাচক বললেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশক / ১৫৩
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী নিয়োগ করে কোটাবিরোধীরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুলক হক।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা মন্তব্য করেন তিনি।

কোটা আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় না, কোটার ইস্যুটি এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আছে। সর্বোচ্চ আদালত সেখানে সিদ্ধান্ত নিলে তারা সব পক্ষের কথা শুনে তারপরে সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আমি মনে করি।’

কোটা আন্দোলনে রাজপথে মানুষের সমস্যা হচ্ছে-এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি, আপিল বিভাগের যে মামলা, সেখানে তারা (কোটাবিরোধীরা) পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন। এই পক্ষভুক্ত হওয়ার দরখাস্ত নিয়ে আগামীকাল শুনানি হবে।’

‘সেক্ষেত্রে আমি মনে করছি, তারা সঠিক পথে হাঁটছেন। আমি যতদূর জানি, যখন হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলা চলে, তখন এখন যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন, তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য আদালতে উপস্থাপন করার জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেননি।’

‘তাদের বক্তব্য সেখানে দেননি। তারপরে মামলার রায় হলে সেটা আপিল বিভাগে আছে। সেখানে গতকাল পর্যন্ত তাদের কোনো আইনজীবী ছিল না। এই কথাটা বলছি এই কারণে যে ঘটনা ঘটেছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে বা চেঁচামেচি করে এটার নিরসন হবে না। এটা করলে যেটা হয়, এক পর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে,’ যোগ করেন আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে সঠিক জায়গা হচ্ছে তারা যদি পক্ষভুক্ত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন, অবশ্যই আপিল বিভাগ সবার বক্তব্য শুনবেন এবং সবার বক্তব্য শুনে আপিল বিভাগ ন্যায়বিচার করবেন। এটাই মনে হচ্ছে হবে। এটাই আমাদের আশা।’

সেই পরিপ্রেক্ষিতে কোটাবিরোধীরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটিকে স্বাগত জানাই। তাদের বক্তব্য তারা আদালতে দেবেন। যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।’

এটা কী সম্ভব যে আমি আবেদন করেছি, আরেকজন এসে পক্ষভুক্ত হবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইন্টারভেনার বলে একটা শব্দ আছে ওখানে। যার স্বার্থ আছে, সংক্ষুব্ধ যিনি, যে কোনো সময় তিনি যৌক্তিক কথা বলে আদালতে আবেদন করেন, আদালত সেটা বিবেচনা করবেন।’
সরকারের কেউ বলছেন কোটা আন্দোলন অযৌক্তিক, আবার কেউ বলছেন আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। সেক্ষেত্রে আদালতের প্রভাবিত হওয়ার একটা বিষয় আছে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এই মামলার মেরিট কিংবা এই মামলায় কী হতে পারে, সেটা সম্পর্কে আমি কিছু বলব না, কারণ এটা বিচারাধীন। যতটুকু বাইরে থেকে আইনমন্ত্রী হিসেবে কিংবা আইনের দিক থেকে যতটা বলা দরকার, সেটা বলেছি যে আদালতের বিষয়, আদালতে কথা বলতে হবে। রাস্তায় কথা বললে হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন