• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, তাদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ন্যাশনাল কমেডি পার্টি হয়ে যাচ্ছে এনসিপি: তাসনিম খলিল রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব: সাকিব এবারও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল আমতলীতে এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ। আমতলীতে চাদা না দেয়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে আহত। অপারেশন ডেভিল হান্ট, আমতলীতে আ লীগ নেতা গ্রেফতার। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম আমতলী চাওড়ায় মেহেদী জামান রাকিব এর ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও মটর সাইকেল শোভাযাত্রা। মাদারীপুরে বৃদ্ধ ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু রহস্য জানাল পুলিশ

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯৮
সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন চার্জশিট দাখিল করেছেন। গত বছর ২ নভেম্বর বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর।

হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার পেছনে জড়িত ছিলেন তার কথিত বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন এ চার্জশিট দাখিল করেছেন গত ৯ সেপ্টেম্বর। আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হলেও বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) তা জানা গেছে। এতে আসামি করা হয় হিমুর ‘বন্ধু’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে। তার সঙ্গে দ্বন্দ্বেই আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু।

দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানা সংগ্রাম। বিয়ে করলেও স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার।

অভিনেত্রী আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন রুফি। জানা যায়, ওই বাসায় মঝেমধ্যেই রাতেও থাকতেন তিনি। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

সেসময় জানা গিয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। মেকাপ আর্টিস্ট মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান।

এরপর রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে নিয়ে চলে যান।’

রুফি অভিনেত্রী হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন