• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
  • ইপেপার
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগ যেন মিছিল করতে না পারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, তাদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ন্যাশনাল কমেডি পার্টি হয়ে যাচ্ছে এনসিপি: তাসনিম খলিল রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব: সাকিব এবারও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল আমতলীতে এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ। আমতলীতে চাদা না দেয়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে আহত। অপারেশন ডেভিল হান্ট, আমতলীতে আ লীগ নেতা গ্রেফতার। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম আমতলী চাওড়ায় মেহেদী জামান রাকিব এর ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও মটর সাইকেল শোভাযাত্রা।

‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াত’

প্রকাশক / ৫৪
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, এর একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ধ্বংস করেছে এবং দেশের স্বার্থ ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, উত্তরবঙ্গ সফর উপলক্ষে ডা. শফিকুর রহমান রাত সাড়ে ৮টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে রাত ৯টায় পথসভায় বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পেছনের দরজা দিয়ে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসে। তার দুই মাস পূরণ না হতেই পরের মাসেই আমরা লক্ষ করলাম, বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় তারা ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করলো। হত্যা করে লাশ ড্রেনে ভাসিয়ে দিলো। সঙ্গে সঙ্গে পিলখানার চতুর্দিকে রাতের বেলা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে খুনিদের পালানোর ব্যবস্থা করে দিলো। বিডিআরের লোকদের দফায় দফায় অ্যারেস্ট করলো। সাড়ে ১৬ হাজার বিডিআর জাওয়ানকে জেলে নিয়ে গেলো। জেলের ভেতর সাড়ে তিনশর অধিক অফিসার ও সৈনিক মারা গেলো।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করলো আওয়ামী লীগ, আর জীবন গেলো বিডিআরের। আওয়ামী লীগ একটি ষড়যন্ত্রকারী দল। একটি বাহিনীকে শেষ করে দিলো তারা। সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দিলো। এরপর জামায়াতে ইসলামীর গায়ে হাত দিলো।”

ডা. শফিক দাবি করেন, “এ দেশে দুটি পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি রয়েছে, একটি সেনাবাহিনী এবং অপরটি জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনীর ক্ষতি করে এবং জামায়াতকে দুর্বল করার মাধ্যমে দেশের ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যত এ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। আমরা এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান চারটি ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করি। হিংসা-বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দৃষ্টান্ত পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমরা শিখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশের মানুষকে আখ্যায়িত করেছে।’

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তারা সংখ্যালঘু বলে যাদের জন্য মায়াকান্না করেছিল তারাই তাদের জায়গা-জমি অন্যায়ভাবে সব দখল করে রেখেছিল। তাদের সম্পদের ওপর হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের ইজ্জতের ওপরেও হাত দিয়েছে। এই সময়ে এসে তারা (আওয়ামী লীগ) মায়াকান্না করে এবং দোষ চাপায় এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষ বিশেষ করে যারা নিষ্ঠাবান মুসলমান তাদের ওপরে।’

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

TikTok

জরুরি হটলাইন