আমতলীর গুলিশাখালি কালিবাড়ি ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার সুপার কতৃক ওই মাদরাসার অনুমতি ছাড়াই ৮টি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের ন.ম.ম আলিম মাদ্রাসাটি অবস্থিত। এ মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে পরিচিতি রয়েছে।
গত ৬/১/২৫ ইং তারিখ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলি হোসেন ৮ টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছেন এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি মো. নুরুল হক হাওলাদার।
এতে মাদ্রাসার জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি মো.নুরুল হক হাওলাদার বাদি হয়ে গত ১৩/১/২৫ তারিখ আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।যাহার ডকেট নং১৮৪-১৩/১/২৫।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,এই প্রতিষ্ঠানটির পুরণো শ্রেণীকক্ষ সংস্কার ও নতুন শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে ম্যানিজিং কমিটির কোন রেজুলেশান ছাড়াই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলি হোসেন ৮টি মেহগনি গাছ কেটেছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলি হোসেন জানান, মাদ্রাসার নতুন ঘর তৈরী করা প্রয়োজন। তাই গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি গাছগুলো কাটেননি। কারণ গাছ কাটার অনুমতি পেতে অনেক সময় লাগে। তাই শ্রেণীকক্ষ সংকট থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করেই হয়তো গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও জমিদাতা মো.নুরুল হক হাওলাদার বলেন,আমি বাদি হয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।তিনি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে এসব কর্মকান্ড করে থাকেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, অনুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে না। এটা একটি বড় ধরণের অপরাধ। তবে অভিযোগ পেয়েছি খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।