বরগুনা প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে আ.লীগের দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যেন থামছেই না।একের পর এক চলছে জমি দকল সহ নানান অন্যায় অপরাধ কর্মকান্ড।
যানা গেছে আমতলী পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড ফায়ারসার্ভিস সংলগ্ন মোঃ নরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা রুমা আক্তার ৩০ বছর পুর্বে সাব কবলা রেজিস্ট্রিমুলে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
কিছুদিন পুর্বে উক্ত ক্রয়কৃত জমির ওয়ারিশদের একটি চক্র উক্ত সম্পত্তিতে তাদের জমি দাবি করিয়া জোর পু্র্বক দখলের পায়তারা করিয়া আসিতেছিল।
এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বিষয়টি কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে পুর্ব থেকে আমতলী বিজ্ঞ জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা নং ৭২/২০২৫ চলমান ছিলো।
যাহা পরবর্তীতে ১৩ /৩/ ২০২৫ তারিখে সংশ্লিষ্ট আদালত উক্ত জমিতে বিবাদী গনের উপরে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবেনা মর্মে নোটিশ প্রদান করেন যা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
এমতাবস্থায় আদালতের নোটিশ জারির বিষয়টি জানতে পেরে নোটিশ গ্রহণ না করে। আওয়ামী নেত্রী মোসাঃ লাভলী তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে জমিতে গিয়ে জোর পুর্বক আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চিন্হিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অশ্রশস্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত বাড়িতে থাকা মোসাঃ রুমা বেগম ও তার ছোট ছেলেকে জিম্মি করে ফিল্মি স্টাইলে ৫০ থেকে ৬০ জন ক্যাডার সম্ভবলিত হয়ে বাড়ির সম্মুখে থাকা পুকুর পাড়ে খালি স্থানে আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পুর্বে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে। যা পূর্ব থেকেই প্রস্তুত করা ছিলো এবং রুমা বেগম সহ বাড়ির সকলকে খুনজখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এমনকি জমি দখলে নিতে উক্ত জমির মালিক রুমা বেগম ও তার সন্তানদের প্রাননাশের ভয় ভিতি প্রদর্শন সহ এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়।
রুমা বেগম উপায় অন্তর না পেয়ে ৯৯৯ ফোন করিলে জুম্মার নামাজ শেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই ঘর নির্মান শেষ করে উক্ত লাভলী তার লোকজন নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে রুমা বেগম জানান আমতলী পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের চাওড়া মৌজায় আমার ক্রয়কৃত ১৮ শতাংশ জমি রয়েছে।
যা বিগত ৩০ বছর যাবত আমি ভোগ দখলে আছি।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।