সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

আওয়ামী লীগ ‘দুঃখিত’ না বলা পর্যন্ত শান্তি পাবে না : শফিকুল আলম

আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ‘দুঃখিত’ না বলবে, যতক্ষণ না শহীদদের ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখাবে, তত দিন আওয়ামী লীগ শান্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম দিনের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “আমরা অপেক্ষা করেছি প্রায় ১০ মাস—যাতে BAL (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)-এর সদস্যরা, নেতৃত্ব এবং তাদের সহানুভূতিশীলরা দুঃখ প্রকাশ করে এবং একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে আপনারা যা করেছেন তা হলো শহীদদের নিয়ে উপহাস, আমাদের সংগ্রামকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, এবং ১৭ কোটি মানুষকে ‘জঙ্গি’ বলে কলঙ্কিত করেছেন—এই আশায় যে আপনার ঔপনিবেশিক প্রভুরা এসে আবারও আপনাদের হাতে দেশ তুলে দেবে, যেন লুণ্ঠন ও বিশৃঙ্খলার আরেকটি অধ্যায় শুরু করতে পারেন।

” 

তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখিত, এবার আর তা হবে না। জুলাই আমাদের সাহসী করেছে। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে প্রতিকূলতার মুখেও মাথা তুলে দাঁড়াতে। জুলাই আমাদের ডিএনএ-তে স্থায়ীভাবে এক বিরল সাহসের জিন প্রবেশ করিয়েছে।

আরও পড়ুন  এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস
আমরা আর আগের মতো নই।’ 

জুলাই আমাদের হাল না ছেড়ে ঝড়ের মতো গুলির মধ্যেও দাঁড়িয়ে থাকার দৃঢ়তা শিখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসসচিব। জুলাই আমাদের ভুলতে দেয় না আমাদের শহীদদের, যাদের আপনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন; যাদের চোখ উপড়ে নিয়েছেন, যাদের আত্মাকে ছিন্নভিন্ন করেছেন; যোগ করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম আরো বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কখনোই শান্তি হবে না—যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন।

যতক্ষণ না আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার হাতে রক্ত দেখতে পান। আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ব—আমাদের জমিতে, নদীতে, পাহাড়ে। আমরা লড়ব ভার্চুয়াল জগতেও। আমরা আপনাদের মুখোশ খুলে ফেলব—আপনারা গণহত্যার সহযোগী, মানবাধিকারের ডাকাত “ 

তিনি বলেন, ‘আমরা মাটি থেকে আপনাদের কুৎসিত প্রভাবের দাগ মুছে ফেলব এবং তা রক্ত দিয়ে ধুয়ে ফেলব। আপনারা কখনোই শান্তি পাবেন না—যতক্ষণ না শহীদদের ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখান, যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীবরদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর কোলে নবজাতক কন্যার জন্ম, প্রশাসনের তৎপরতা

আওয়ামী লীগ ‘দুঃখিত’ না বলা পর্যন্ত শান্তি পাবে না : শফিকুল আলম

আপডেট সময় : ০৬:১২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ‘দুঃখিত’ না বলবে, যতক্ষণ না শহীদদের ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখাবে, তত দিন আওয়ামী লীগ শান্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম দিনের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “আমরা অপেক্ষা করেছি প্রায় ১০ মাস—যাতে BAL (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)-এর সদস্যরা, নেতৃত্ব এবং তাদের সহানুভূতিশীলরা দুঃখ প্রকাশ করে এবং একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে আপনারা যা করেছেন তা হলো শহীদদের নিয়ে উপহাস, আমাদের সংগ্রামকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, এবং ১৭ কোটি মানুষকে ‘জঙ্গি’ বলে কলঙ্কিত করেছেন—এই আশায় যে আপনার ঔপনিবেশিক প্রভুরা এসে আবারও আপনাদের হাতে দেশ তুলে দেবে, যেন লুণ্ঠন ও বিশৃঙ্খলার আরেকটি অধ্যায় শুরু করতে পারেন।

” 

তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখিত, এবার আর তা হবে না। জুলাই আমাদের সাহসী করেছে। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে প্রতিকূলতার মুখেও মাথা তুলে দাঁড়াতে। জুলাই আমাদের ডিএনএ-তে স্থায়ীভাবে এক বিরল সাহসের জিন প্রবেশ করিয়েছে।

আরও পড়ুন  জাতীয় নির্বাচনের দিনই ‘জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট’ হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
আমরা আর আগের মতো নই।’ 

জুলাই আমাদের হাল না ছেড়ে ঝড়ের মতো গুলির মধ্যেও দাঁড়িয়ে থাকার দৃঢ়তা শিখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসসচিব। জুলাই আমাদের ভুলতে দেয় না আমাদের শহীদদের, যাদের আপনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন; যাদের চোখ উপড়ে নিয়েছেন, যাদের আত্মাকে ছিন্নভিন্ন করেছেন; যোগ করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম আরো বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কখনোই শান্তি হবে না—যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন।

যতক্ষণ না আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার হাতে রক্ত দেখতে পান। আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ব—আমাদের জমিতে, নদীতে, পাহাড়ে। আমরা লড়ব ভার্চুয়াল জগতেও। আমরা আপনাদের মুখোশ খুলে ফেলব—আপনারা গণহত্যার সহযোগী, মানবাধিকারের ডাকাত “ 

তিনি বলেন, ‘আমরা মাটি থেকে আপনাদের কুৎসিত প্রভাবের দাগ মুছে ফেলব এবং তা রক্ত দিয়ে ধুয়ে ফেলব। আপনারা কখনোই শান্তি পাবেন না—যতক্ষণ না শহীদদের ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখান, যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন।